0 0
0
কার্টে কোন পন্য নাই.

Welcome to BanglaTraders Online Marketplace!

খড় কাটা মেশিন

জানু 30, 2023 / By System Admin / in Ecommerce

Ø  কভারযুক্ত মেশিনের ধরন, ব্যবহারের সুবিধা/ অসুবিধা

Ø  কোন ধরনের পেনিয়াম বেশি মজবুত ও কাজ ভালো হয়?

Ø  মেশিনে আনারস নামক যন্ত্রের কাজ ও সুবিধা

Ø  মেশিনের পায়া বা স্ট্যান্ড

 

গবাদি পশুর খাবার  তৈরির জন্য ঘাস এবং  ধানের খড় একটি নির্দিষ্ট আকারে টুকরো করে কাটতে হয়। কিন্তু প্রচলিত পদ্ধতিতে হাতের সাহায্যে ধারালো দা অথবা ছুরি দ্বারা খড় কাটতে অনেক সময় ও শ্রমের প্রয়োজন হয়। তাই বাজারে এখন আধুনিক প্রযুক্তির যান্ত্রিক খড় কাটা মেশিন পাওয়া যাচ্ছে যার মাধ্যমে ধান, গম ও ভুট্টার খড় গবাদি পশুকে খাওয়ানোর উপযোগী করে ছোট ছোট টুকরা করা যায়। এই যন্ত্রটি দ্বারা ধানের শুকনো ও ভিজা বা কাঁচা খড় নির্দিষ্ট আকারে টুকরো টুকরো করে কাটা যায়। এ ছাড়াও সকল প্রকার ঘাস, ভুট্টা গাছ এবং গাছের কচি ডাল ইত্যাদি টুকরো টুকরো করে অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা যায়।

এই যান্ত্রিক খড় কাটা মেশিন দুই ধরনের রয়েছে। কভার যুক্ত এবং কভার ছাড়া মেশিন। কভার ছাড়া মেশিনের তুলনায় কভার যুক্ত মেশিন ব্যবহারের সুবিধা অনেক বেশি। মেশিনের ব্লেড কভার দিয়ে ঢাকা থাকায় দূর্ঘটনার সম্ভাবনা অনেক কম। কাজ করার সময় হঠাত করে হাত কেটে যাবেনা।

এছাড়াও কভার মেশিনের সবথেকে বড় সুবিধা হচ্ছে মেশিনে খড় কাটার পর সেটা একটি নির্দিষ্ট স্থান দিয়ে বের হয়ে বস্তায় ভরে যাবে। কভার ছাড়া মেশিনে যেমন খড় কেটে চারিদিকে ছড়িয়ে যায় এবং পরে আলাদা করে বস্তায় ভরা লাগে। এতে সময় ও বেশি লাগে। আবার এই কভার যুক্ত মেশিনের মুখ কোনটা এক পাশে হয় আবার কোনটা সোজা নিচের দিকে হয়। যে মেশিনের মুখ এক পাশে থাকে সেটার মাধ্যমে খড় বের হতে একটু সময় লাগে কারন ব্লেডে খড় কাটার পর পুরা মেশিনের মুখ ঘুরে এসে টুকরা করা খড় বের হবে। আর নিচের দিকে থাকা সোজা মুখওয়ালা মেশিন দিয়ে খড় কেটে খুব সহজেই বের হয়ে আসবে। বের হওয়ার সময় মেশিনের মুখে কোনো বাধা পাবেনা ।

কভার মেশিনের বিভিন্ন ক্যাটাগরি আছে। কিছু মেশিন নরমাল প্লেইন শিটের তৈরি আবার কিছু মেশিন জাহাজের মোটা শিট দিয়ে তৈরি করা। মোটা শিটের তৈরি মেশিন টেকসই হয় বেশি দিন।

খড় কাটা মেশিনে ২ ধরনের পেনিয়াম লাগানো থাকে । ছোট মেশিনের ক্ষেত্রে স্টিলের ১৫ দাঁতের পেনিয়াম লাগানো থাকে। আর বড় মেশিনের ক্ষেত্রে ৮ দাঁতের ঢালাই পেনিয়াম লাগানো থাকে । স্টীল লোহার পেনিয়াম দীর্ঘ স্থায়ী হয়।স্টীল লোহার তৈরি পেনিয়ামের দাঁত ক্ষয় হয় কিন্তু ঢালাই পেনিয়ামের দাঁত আঘাত লাগলে ভেঙ্গে যায়।  ৭ বা ৯ ইঞ্চি ঢালাই পেনিয়াম মোটা দাঁতের এবং মজবুত হয়ে থাকে। মেশিনে থাকা পেনিয়াম বক্স খুলে পেনিয়ামে গিরিজ লাগালে অনেক দিন ভাল থাকে।

খড় কাটার এই যান্ত্রিক মেশিনে ইন্ডিয়ান পূজারী ব্লেড ব্যবহার করা হয়। আসল পুজারী ব্লেডের গায়ে খোদাই করে পূজারী লেখা থাকে। একটা ব্লেড ২/৩ বছর পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে। ধার দিয়ে অনেক বার ব্যবহার করা যাবে। ক্ষয় হওয়ার পরেও ব্লেডের মাঝামাঝি অংশ পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে। কভার মেশিনে ৩ ভাবে ব্লেড সেট করা যাবে।  ২ এবং ৪ ব্লেডের কভার মেশিন আছে। ২ ব্লেডের কভার মেশিনে ২ টা ব্লেড ও ব্যবহার করা যাবে আবার প্রয়োজন অনুযায়ী ১ টা ব্লেড ও ব্যবহার করা যাবে। আর ৪ ব্লেডের কভার মেশিনের ক্ষেত্রে ২, ৩ ও ১ টা ব্লেডও ব্যবহার করা যাবে।

ছাগলের খাবারের উপযোগী খড় কাটতে ৪ ব্লেড ব্যবহার করা হয়। ৪ ব্লেড দিয়ে জিরো সাইজের খড় কাটা হবে। ৩ ব্লেড দিয়েও ছাগলের জন্য খড় কাটা যাবে। আর ২ ব্লেড হলে ছাগল গরু ২ টাই খেতে পারবে এবং ১ ব্লেড শুধু মাত্র গরুর খাবারের জন্য ব্যবহার করা হয়। ৭ ইঞ্চি ডেলিভারি মুখের ৪ ব্লেডের কভার মেশিন দিয়ে ভুট্টা কাটা জন্য ব্যবহার করা হয়। সাড়ে ৮ ইঞ্চি ডেলিভারি মুখেরও  কভার মেশিন পাওয়া যাবে।

খড় কাটা মেশিনের সাথে আনারসের মত দেখতে একটি যন্ত্রাংশ থাকে যার সাহায্যে শুকনা বা ভেজা সব ধরনের খড় ও ঘাস মেশিনের মুখের ভেতর টেনে নেয়। কিছু মেশিনে আনারসের পরিবর্তে রোলার থাকে। তবে রোলারে ভেজা ঘাসের গোঁড়া শক্ত থাকায় অনেক সময় পিচ্ছিল হয়ে বের হয়ে আসে। সেক্ষেত্রে মেশিনে আনারস ব্যবহার করা সুবিধাজনক। দেশি খড় কাটা মেশিনে আনারস যন্ত্রটি অনেক আগে থেকে ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে এলোমেলো খড় বা বিচলি, ঘাস সব কিছুই সুন্দর ভাবে কেটে বের হয়ে আসে।

কভার ছাড়া মেশিনে ৪ টা স্ট্যান্ড থাকে। কিন্তু মেশিনে কভার যুক্ত থাকায় এবং ২ হর্স পাওয়ারের মটর লাগানোর জন্য অনেক ভারি হয়। ফলে মেশিনে ৬ টা স্ট্যান্ড বা পায়া ব্যবহার করা হয়েছে যাতে মেশিন চালানোর সময় স্ট্যান্ডের সাহায্যে চাপ ব্যালেন্স করতে পারে।

খড় কাটার এই যান্ত্রিক মেশিনটি অনলাইনের মাধ্যমে সারাদেশে বিক্রি করা হচ্ছে। ফেসবুক ও ইউটিউবের মাধ্যমে এই প্রোডাক্টটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।

এছাড়াও ফোন কলের মাধ্যমে অর্ডার দিলে বাংলাদেশের যে কোন প্রান্তে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে প্রোডাক্ট ডেলিভারি দেওয়া হবে।