0 0
0
কার্টে কোন পন্য নাই.

Welcome to BanglaTraders Online Marketplace!

শাটার তৈরি মেশিন

জানু 30, 2023 / By System Admin / in Ecommerce

দোকানের সুরক্ষার জন্য শাটারের গুরুত্ব অনেক বেশি। শাটার ব্যবহার করা নিরাপদ এবং সুবিধাজনক। আগে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে একটি শাটার তৈরি করতে প্রায় এক মাস লেগে যেত কিন্তু এখন আধুনিক মেশিন দিয়ে মাত্র আধা ঘন্টার মধ্যে একটি শাটার তৈরি করা যাবে।

আধুনিক শাটার মেশিনের মাধ্যমে এক ভাঁজ থেকে শুরু করে মোট পাঁচ টি ডিজাইনের শাটার তৈরি করা যায়। এই শাটার মেশিন চালাতে মোটর সেট করা থাকবে। মোটরটি ১ ফেজের ২ হর্স পাওয়ারের। এর সাথে সুইচ যুক্ত থাকবে। সুইচ প্লাগে কানেক্ট করলেই মেশিনটির কাজ শুরু হবে। এক প্রান্ত দিয়ে টিনের শিট মেশিনের ভেতর ঢুকিয়ে দিলেই সেকেন্ডের মধ্যে গোল্লা তৈরি হয়ে বের হয়ে আসবে।

এইভাবে কয়েকটি গোল্লা তৈরি হওয়ার পর এক্টির সাথে আরেকটি সারিভাবে যুক্ত করলেই শাটার তৈরি হয়ে যাবে। এই মেশিনের মাধ্যমে সাধারন ডিজাইন ছাড়াও কাস্টমারের চাহিদা অনুযায়ী ডিজাইন করে দেওয়া যাবে।  

এই মেশিন তৈরি করতে চিটাগাং থেকে জাহাজের পাত নিয়ে আসা হয়। একটি মেশনে এই পাত গুলো সাইজ মত কেটে নেওয়া হয় এবং সেট করে শাটার মেশিন তৈরি করা হয়।

আধুনিক প্রযুক্তির তৈরি এই শাটার মেশিন ব্যবহারে সময় অনেক কম লাগে এবং খরচম কম হয়। এই মেশিন দিয়ে কাজ করতে বেশি শ্রমিকের প্রয়োজন হয় না। ফলে অতিরিক্ত শ্রমিক খরচ ও বেচে যায়।

দোকানে দরজা লাগালে খোলা বা বন্ধ করতে অনেকখানি জায়গা লাগে। কিন্তু শাটার খুলতে বা বন্ধ করতে এক্সট্রা কোন জায়গা লাগেনা। সহজেই খোলা বা বন্ধ করা যায়। এটি সারি ভাবে একটার সাথে একটা লাগানো থাকে বলে কোন ফাকা থাকে না। এর ফলে বাইরে থেকে দোকানের ভেতরে দেখা যায় না।

অনেক সময় এই শাটারের গায়ে নিজের দোকান সম্পর্কে বিস্তারিত লিখে প্রোমশোনাল কাজ হিসেবে ব্যবহার করা যায়। শাটার যাতে অনেক দিন পর্যন্ত ভালো থাকে সেজন্য কিছু দিন পরপর শাটারে জয়েন্ট গুলোতে গিরিজ ব্যবহার করতে হবে যাতে জং না ধরে।

যদি কেউ এই মেশিন কিনে ব্যবসা করতে চান তাহলে সেটা বেশ লাভজনক হবে। প্রতিদিন শাটার তৈরির অর্ডার নিতে পারলে কমপক্ষে ৪০ টা সাটার ডেলিভারি দেওয়া সম্ভব। আর যদি ২০ টা শাটারও ডেলিভারি দেওয়া যায় সেক্ষেত্রে সব মাল বেচার পর মাসে এক থেকে দেড় লাখ টাকা লাভ হবে।

এই মেশিন দিয়ে প্লেইন শিট, কালার শিট, ইত্যাদি বিক্রি করা যাবে। মেশিনের পেনিয়াম, বেয়ারিং সহ প্রায় সব পার্টসের ১০ বছরের গ্যারান্টি রয়েছে। মেশিনের যেকোন সমস্যায় কারখানা থেকে লোক যেয়ে সার্ভিসিং করে দেওয়া হবে। সারাদেশে অনলাইনের মধ্যমে অর্ডার নেওয়া হয় এবং কুরিয়ারের মাধ্যমে ডেলিভারি দেওয়া হয়।