ইট ভাঙ্গা মেশিন

দালান-বাড়ি নির্মানে ইটের খোয়া তৈরি করা হত হাতুড়ি দিয়ে ইট ভেঙ্গে। এতে সময় অনেক বেশি লাগত আর খরচও অনেক বেশি হত। এই সমস্যা সমাধানে এখন ব্যবহার করা হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির তৈরি যান্ত্রিক ইট ভাঙ্গা মেশিন। এতে খুব কম সময়ে চাহিদা মত ইট ভাঙ্গা হয়ে যাবে। এই মেশিন কিনে যে কেউ একটি লাভজনক ব্যবসা শুরু করতে পারবে। চলুন এই মেশিনের বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক-

যান্ত্রিক এই ইট ভাঙ্গা মেশিনের সম্পুর্ন বডি জাহাজের শিট এবিং লোহা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। মেশিনে দেশি কোম্পানি গাজী টায়ার লাগানো হয়েছে। মেশিনে বড় টায়ার ব্যবহার করার কারণে সামনের দিকে উচু থাকে। রাস্তার বিট পার হওয়ার জন্য বড় টায়ার ব্যবহার করা সুবিধাজনক। মেশিনের সামনের ৮ মিলি শিটের চ্যাসিজ এবং পেছনের অংশ সম্পুর্নই জাহাজের শিট দিয়ে তৈরি করা।  

মেশিনের স্টেয়ারিং বেলজিয়াম রড দিয়ে তৈরি করা। এটি একটি ডাবল ডাম্পার গেয়ার বক্সের মেশিন। অর্থাৎ মেশিনের এক এক সাইডে ২ টা করে স্প্রিং ব্যবহার করা হয়েছে।

মেশিনের গিয়ার বক্স থাকার সুবিধা হচ্ছে ইঞ্জিন আলাদা ভাবে ঘোরানো লাগেনা। মেশিন আটোমেটিক আগে পিছে করা যাবে। আর মেশিনে দুইটা ডাম্পার ব্যবহারের কারণে মেশিন চলাকালে যে ঝাঁকি সৃষ্টি হয় সেট ব্যালেন্স করতে পারে। এতে মেশিন অনেক দিন ভালোভাবে কাজ করতে পারে এবং দুর্ঘটনা থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়।

মেশিনের বক্সে ২৫ ও ২০ মিলি সাইজের প্লেট লাগান আছে। মেশিনের উপরে দুই পাশে যে দুইটা চাকা লাগানো আছে প্রতিটা চাকার ওজন ১৫০ কেজি করে। ওজন বেশি হওয়ার জন্য সব থেকে সুবিধা হল ইঞ্জিনের আরপিএম কম লাগে। এতে ইঞ্জিনের ক্ষতি কম হয়। জাহাজের পুরাতন বেয়ারিং এই মেশিনে ব্যবহার করা হয়। জাহাজের বেয়ারিং ব্যবহারে অনেক দিন ভালো থাকে। আমাদের দেশিয় বেয়ারিং বেশিদিন লাস্টিং করেনা। কিছুদিন ব্যবহারের পরই বেয়ারিং পরিবর্তন করা লাগে তাই জাহাজের বেয়ারিং ব্যবহারের সুবিধা অনেক বেশি। বেয়ারিং এর ক্ষেত্রে এক বছরের গ্যারান্টি পাওয়া যাবে। বক্সের এক এক পাশে দুইটা করে বেয়ারিং লাগানো থাকে।

মেশিনে ৭৫ কেজি ওজনের পাটা ব্যবহার করা হয়েছে। এটি অনেক ভারি এবং মজবুত। অনেক দিন ব্যবহার করা যাবে। মেশিনের হপার গুলো জাহাজের শিটের তৈরি এবং এটি একটি চেইন সিস্টেম মেশিন। আগে ফিতা ব্যবহার করা হত কিন্তু এখন সুবিধার জন্যে চেইন সিস্টেম ব্যবহার করা হয়।

ইট ভাঙ্গা এই মেশিনটির ক্ষেত্রে এক বছরের গ্যারান্টি রয়েছে। দেশের যেকোন জেলায় ডেলিভারি দেওয়া হবে।